ডায়াল সিলেট ডেস্ক;-
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষার নামে নববধূর সঙ্গে বাসরঘরে বন্ধুকে পাঠিয়েছেন এক নববর। এ ঘটনার পর আপত্তি জানিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবু ঢানের ছেলে কেনতু মিয়ার সঙ্গে পারিবারিকভাবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাশের ইউনিয়নের এক তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন কেনতু মিয়া। কিন্তু বন্ধু শরীফকে দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষার জন্য নিজের পরিবর্তে নববধূর ঘরে পাঠান সেই শরীফকে।
এতে বাধা দেন নববধূ। পরে বিষয়টি পরিবার থেকে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এখন তা পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে নববধূ লোকলজ্জায় বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই বন্ধুর মধ্যে আগে থেকেই ‘অস্বাভাবিক সম্পর্ক’ ছিল। কোরবানির ঈদে শরীফ নিজেও বিয়ে করেন এবং তখন তিনি কেনতুকে নিজের নববধূর সঙ্গে বাসর করতে দেন বলে জানা গেছে। এবার সেই প্রতিশোধ বা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কেনতুও একই কাজ করেন।
ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে কেনতু মিয়া ও শরীফ মিয়ার পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি। তবে শরীফ মিয়ার মা মানেদা আক্তার বলেন, আমি এসব কিছু জানি না। তারা দুজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। আমি বহুবার ছেলেকে ওকে (কেনতু) বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছি।
এ বিষয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে কেনতু মিয়া বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তবে প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন সংযোগ কেটে দেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনাটি সত্য। এ নিয়ে গ্রাম্য বৈঠক হয়েছে, তবে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
এদিকে কেনতু মিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাফরিন আক্তার বলেন, শরীফের বউ যদি প্রথমে বাধা দিত, তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। এখন তিনটা পরিবার লজ্জায় পড়েছে।
এ বিষয়ে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। নববধূ পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

