ডায়াল সিলেট ডেস্ক:-

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম আবারও বিতর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি উপজেলা প্রাঙ্গণে থাকা কলার ছড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগের পর এবার ‘চুরির আলামত’ গায়েবের উদ্দেশে কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে তিনি দুই সহযোগীকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের পাশে এসব কলাগাছ কেটে ফেলেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিনি ইউএনও অফিসের এক কর্মচারীকে সিসিটিভি ফুটেজ না দেখতে নির্দেশ দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, “এর আগেও তিনি সরকারি সম্পদ ব্যবহারে বিতর্কিত ছিলেন। এবার তো সরাসরি গাছ কেটে ফেললেন! এটা কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ হতে পারে না।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষা বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন আচরণ অনৈতিক ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “কলাগাছ কাটা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে। কোনো আলামত গায়েব করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়নি।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ বিন কাশেম বলেন, “সরকারি দপ্তরের ভেতরে থাকা কলাগাছ তিনি এভাবে কাটতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে এই কর্মকর্তা অনুমতিবিহীনভাবে একটি মসজিদের প্রায় ৫০টি নারিকেল ও কলা সংগ্রহের অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন, যা প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *