ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ‘শালি ডিলস’ নামের একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন নারীর ছবিসহ প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে এবং তা প্রকাশ করা হয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতে ভারতের অর্ধশত নারী বিষয়টি জানতে পেরেছেন। ভারতে সংখ্যালঘু নারীদের ছবিসহ প্রোফাইল তৈরি ও প্রকাশ করে নিলামের বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে ‘শালি ডিলস নামের একটি অ্যাপ ও ওয়েবসাইট। গত রোববার দেশটির কয়েক ডজন মুসলিম নারী দেখতে পান, তাদের অনলাইনে বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত কয়েক সপ্তাহে ওই অ্যাপে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন করা হয়।

‘শালি ডিলস নামের ওই অ্যাপ ও ওয়েবসাইটি নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছে ‘ডিলস অফ দ্য ডে‘ বলে। যেসব নারীকে নিলামে তোলা হয়েছে, তারা সবাই মুসলিম এবং অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের প্রায় সবাই পেশায় সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, শিল্পী কিংবা গবেষক।

বিক্রির তালিকায় রয়েছেন হানা খান নামের এক নারী, যিনি পেশায় বাণিজ্যিক বিমানচালক।  রোজগার ভা‌লো হলেও তার প্রোফাইল খুঁজে পাওয়া গেলে নারী বিক্রির অ্যাপে! এরই মধ্যে অনেকে দামাদামিও করেছেন। এতে অবাক হওয়ার চেয়ে ভয়ই বেশি পেয়েছেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুরা মেসেজ করে চলেছেন হানা খানকে। সঙ্গে ট্যাগ করা নেটমাধ্যমের একটি পোস্ট। সেখানে হানার ছবি আপলোড করে তাকে বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়েছে।

হানা বলেছেন, ‘ধর্মীয় পরিচয়ের জন্য অবমাননার উদ্দেশ্যেই এমন কাজ করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। তিনি জানান, ‘ওই ওয়েবসাইটে প্রায় ২০ দিন ধরে তার ছবি ও টুইটারে দেওয়া তথ্য ছিল। আমি প্রথমে বিষয়টি জানতেও পারিনি। আত্মীয় ও বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’ এরপর পুলিশে অভিযোগ জানান হানা। টুইট করে বিষয়টি সামনেও আনেন তিনি। হানার মতো সেই তালিকায় ছাত্রী, সমাজকর্মী এমনকি, সাংবাদিকেরও নাম এবং ছবি রয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে টুইটারে দেওয়া তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। নেটমাধ্যমে সক্রিয় এসব মুসলিম নারী বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাই নিছক ‘যৌন বিনোদন’ নয়, পুরো ঘটনার পেছনে ‘অন্য উদ্দেশ্য’রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

অ্যাপ ও ওয়েবসাইটটিতে নারীদের ‘ডিলস অব দ্য ডে’ বলে বিশেষায়িত করা হয়েছে। মূলত তাদের অজান্তেই বিক্রির জন্য পণ্য হিসেবে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ওয়েব প্ল্যাটফর্ম গিটহাবের মাধ্যমে চলছিল অ্যাপটি। এ কারণে অভিযোগ পাওয়ার পরই ‘শালি ডিলস’ বন্ধ করে দেয় গিটহাব।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *