ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবিকার কথা বিবেচনা করে শিথিল হচ্ছে লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হতে পারে দোকানপাট, শপিংমল ও গণপরিবহণ। যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাট বসবে কিনা এসব চিন্তা করছে সরকার।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে ।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মানুষের চলাচল সেইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এসব বিবেচনায় সর্বাত্মক লকডাউন আরও কিছুদিন রাখার প্রাথমিক চিন্তাভাবনা ছিল। কিন্তু ঈদুল আযহা সামনে থাকায় ওই চিন্তা থেকে সরকার সরে আসছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে অনেকটাই শিথিল হয়ে যাচ্ছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন, দোকানপাটসহ প্রায় সবকিছুই চালুর অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। একই সঙ্গে কোরবানির হাটও চলবে। এসব বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুয়ায়ী কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলা হতে পারে। এ বিষয়ে যেকোনো সময় সিদ্ধান্তের ঘোষণা হতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ শিথিল করলে পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটা নিয়েও আশঙ্কা আছে।
এবার যে বিধিনিষেধ চলছে, তাতে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, শপিং মল, মার্কেটসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা আছে। এভাবে মোট ২১ ধরনের বিধিনিষেধ চলছে। এরইমধ্যে রোববার এক আদেশে সরকারি অফিসগুলোকে ভাচুর্য়ালি জরুরি কাজকর্ম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রাতেই লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। রোববার এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি জানান, সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সে অনুযায়ী ১৩ জুলাই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে। এতে আরো জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সূত্র : দৈনিক যুগান্তর

