ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ভোলার মেঘনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে। ইতোমধ্যে সরগরম হয়ে উঠছে মাছের আড়ৎগুলো। ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে, পাইকার, আড়ৎদার ও বেপারিরা। এখান থেকে এসব ইলিশ পাঠানো হচ্ছে ঢাকা এবং বরিশালের মোকামগুলোতে। করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের জন্য পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ইলিশের দাম কিছুটা চড়া। তবে বাজারগুলোতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশের সরবরাহ রয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। এছাড়া ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ার কারণেও মাছের পরিমাণ বেড়েছে। আগামী কয়েকদিন মাছের পরিমাণ আরো বাড়বে বলে আশাবাদি তারা।
এদিকে স্থানীয় আড়তে প্রতি হালি জাটকা ২২০ টাকা, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ হালি প্রতি ৫ হাজার টাকা, ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ১১০০ টাকা এবং ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭’শ থেকে ১৮’শ টাকা দরে।
জেলে বশির মাঝি বলেন, নদীতে মোটামুটি মাছের সরবরাহ বেশি। আগে সারাদিন জাল বেয়ে যে মাছ পাওয়া যেত তা দিয়ে তেলের টাকাও উঠতো না। কিন্তু এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। রোববার (২৫ জুলাই) নদীতে গিয়ে ৬ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করেছি।
ইলিশা ঘাটের আড়ৎদার সামসুদ্দিন জানান, আগের চেয়ে এখন মাছের পরিমাণ বেশি। আগে এ ঘাটে ৫০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হতো না। কিন্তু এখন ২ থেকে আড়াই লাখ মাছ বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ায় এখন নদীতে মাছ ধরা পড়ছে। আশা করা যায় আগস্ট মাস পর্যন্ত এমন অবস্থা চলমান থাকবে। এ বছর আমাদের ইলিশ ধরার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়লে লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা যায়।
ডায়ালসিলেট/এম/এ/

