Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সোহেল আহমদ :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে শাবি ক্যাম্পাসে যান সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর বিএনপির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে যান তারা । আন্দোলনরত শাবিপ্রবি’র ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দীর্ঘসময় আলাপ করেন নেতৃবৃন্দরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করেন। এসময় ক্যাম্পাসে অনশনের কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, এমনকি কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এসময় শাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দেখতে যান মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকি এবং সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কায়েস লােদী, যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সালেহ আহমদ খসরু।
এদিকে রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী তার ফেসবুক স্টেটাসে বলেন, আন্দলনরত শাবিপ্রাবি’র ছাত্রদের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে মনে হলো তারা তাদের দাবী আদায়ে অনড়। যখন আমরা অনশনরতঃ ছাত্রদের কাছে দাঁড়ালাম, তখন প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থায় একজন ছাত্রী কাতরাচ্ছে কিন্তু দাবী আদায়ে তার চোয়াল ঠিকই শক্ত! তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নৈতিক ভাবে যেই ভিসি শুধু মাত্র তার নিয়োগকর্তা সরকার ছাড়া সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্যতা ও হারিয়েছেন, তাকে সরে দাঁড়ানো ছাড়া এর সমাধান নেই। যতো দ্রুত তা হবে ততোই মঙ্গল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের অসদাচরণের প্রতিবাদে ওই হলের ছাত্রীদের মাধ্যমে আন্দোলন শুরু । পরে একদিন পর গত শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতার্কিত হামলা চালায়। এর পর থেকে শাবিতে আন্দোলনের নতুন মাত্রায় গড়ায়। এরপর হলের প্রভোস্টের অপসারণ, এবং ছাত্রলীগের হামলার বিচার চেয়ে রবিবার সকল শিক্ষার্থী আন্দোলনে আন্দোলনে নামে এবং সেদিনই উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তাকে মুক্ত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঐদিনই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। অনেককে আহত অবস্থায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায়, গত রবিবার আড়াই থেকে তিনশ’ জন অজ্ঞাত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। অন্যদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আলটিমেটামও দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসাথে ভিসিকে প্রত্যাহার করা না হলে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবে শিক্ষার্থীরা।

