ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: খলিল মিয়া বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের কাশেমনগরের বাসিন্দা। সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পেয়েছেন সরকারি ঘর। এখন আর তাঁকে মাস শেষে ঘর ভাড়ার জন্য চিন্তা করতে হয়না। ভাড়ার টাকা জমান মাটির ব্যাংকে। হয়তো সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন। ঘর ভাড়া নয় এখন তাঁকে ঘিরে ধরেছে বেঁচে থাকা, না থাকার চিন্তা। মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। গলা দিয়ে আর ভাত ঢুকেনা। সিলেটের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন জরুরি অপারেশন দরকার। কিন্তু অপারেশন করার মতো সে টাকা তো আর মাটির ব্যাংকে জমা হয়নি। হয়তো দুই-আড়াই হাজার টাকা জমা হয়েছে। কিংবা আরো কম। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে অর্ধলক্ষাধিক টাকা। টাকার ভয়ে চিকিৎসকের কাছে সিলেটমুখি আর হননা খলিল মিয়া। খলিল মিয়া বলেন, চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে জানিয়েছেন তিনি গলায় ক্যান্সার আক্রান্ত। কিছু গিললেই গলা থেকে বুক পর্যন্ত জ্বলে। শুধু বনরুটি খান। এখন তিনি সরকার এবং ধনাঢ্য মানুষের দয়ার দিকে চেয়ে আছেন। কেউ অপারেশনের আর্থিক করবেন, সে চেয়ে আছেন। অসহায় সন্তানদের জন্য হলেও আরো কিছুদিন মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতে চান খলিল মিয়া। নতুবা বিনা চিকিৎসায়ই যে মৃত্যু।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
