ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। এ ঘটনাকে ‌‌‘পরিকল্পিত হত্যা’ উল্লেখ করে বাদী হয়ে মামলা করেছেন মারা যাওয়া দুই শিশুর বাবা ইটভাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন। মামলায় ওই দুই শিশুর মা লিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে ওই দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ শিশুদের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’
মারা যাওয়া দুই শিশু হলো আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫)।
অভিযোগ ওঠে, ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ১০ মার্চ দিনগত রাতে শিশু দুুটি মারা যায়। ওই সময় শিশুদের মা লিমা বেগম দাবি করেন, ‘দুদিন ধরে মোরসালিন খানের জ্বর হয়। এরআগে থেকে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। ঘটনার দিন বিকেলে দুই শিশুর দাদি পাশের বাজারের মাঈন উদ্দিনের ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ নিয়ে আসেন। দুই শিশুকে সিরাপ খাওয়ানোর পর তারা বমি করতে শুরু করে।’

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

‘অবস্থার অবনতি হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলে পথে রাত ৯টার দিকে ইয়াসিনের মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টার দিকে মোরসালিনও মারা যায়।’
এ ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
সেই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘নাপা সিরাপ’ বিক্রির নির্দেশনা দেয় জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের যে ফার্মেসি থেকে নাপা সিরাপ কেনা হয়েছিল, সেখান থেকে জব্দ করা বাকি সিরাপ পরীক্ষায় মান সঠিক পাওয়া গেছে বলে জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *