অভিনয়শিল্পী মেয়ে মুক্তিকেও চিনতে পারছিলেন না। কয়েক দিন পর মেয়েকে চিনতে পারলেও পরিবারের বাইরের কাউকে এখনো ঠিকমতো চিনতে পারছেন না চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম। চোখে এখনো সবকিছু ঝাপসা দেখছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে এই অভিনয়শিল্পীর। ১১ মার্চ রাতে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এই অভিনয়শিল্পীকে। টানা ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর দুই দিন আগে তাঁকে বাসায় আনা হয়। প্রথম আলোকে অভিনয়শিল্পী আনোয়ারার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে অভিনয়শিল্পী রুমানা ইসলাম মুক্তি।
কাল বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হল অব ফেম মিলনায়তনে বসছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’–এর এবারের আসর। এবার যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদকে। এই অনুষ্ঠানে পুরস্কার নিতে সুদূর আমেরিকা থেকে এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন আসাদ। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সশরীরে উপস্থিত থেকেও পুরস্কার নিতে পারছেন না আনোয়ারা। তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করবেন মেয়ে মুক্তি।
রুমানা ইসলাম মুক্তি:স্ট্রোক করার পর কয়েক দিন তো আম্মা আমাকেই চিনতে পারেননি। এখন আমাকে চিনছেন। কিন্তু আত্মীয়স্বজন কেউ এসে নাম বললেও তাঁদের চিনতে পারছেন না। চোখে ঝাপসা দেখছেন।
অভিনেত্রী মুক্তি বলেন, তাঁরা পরিবারের সবাই মিলে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার তিন দিনের মাথায় ১১ মার্চ রাতে ব্রেন স্ট্রোক করেন আনোয়ারা। সেদিন রাতেই তাঁকে দ্রুত বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
১১ মার্চ রাতে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এই অভিনয়শিল্পীকে। টানা ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর দুই দিন আগে তাঁকে বাসায় আনা হয়।
মুক্তি আরও বলেন, ‘স্ট্রোক করার পর কয়েক দিন তো আম্মা আমাকেই চিনতে পারেননি। এখন আমাকে চিনছেন। কিন্তু আত্মীয়স্বজন কেউ এসে নাম বললেও তাঁদের চিনতে পারছেন না। চোখে ঝাপসা দেখছেন। ধরে ধরে হাঁটাতে হয়। কিছু দূর হাঁটলে দুর্বল হয়ে পড়েন। সবাই আম্মার জন্য দোয়া করবেন।’

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *