কানাইঘাটে হামলায় যুবক খুন
সিলেটের কানাইঘাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় শাহেদ আহমদ (৩২) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। নিহত শাহেদ আহমদ কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ি ইউনিয়নের আগতালুক গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে কানাইঘাটের আগতালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় শাহেদ আহমদের তিন ভাই ও চাচাতো আরেক ভাই আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাটের আগতালুক গ্রামের জসিম মোল্লা ও হারুন আহমদের গোষ্ঠীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা এবং একাধিক মামলা-মোকদ্দমার ঘটনা রয়েছে। প্রায় ৫ মাস আগেও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন না মর্মে দুই পক্ষের ১০ জন করে ২০ জনের মুচলেকা নিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন শাহেদ আহমদকে একা পেয়ে বাড়ির পাশে মারধর করেন। এ সময় শাহেদ আহমদের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে শাহেদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহেদ আহমদ নামের এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উখিয়ার ছেপটখালী সমুদ্র উপকূল থেকে ৫৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মোহাম্মদ সোহেল ও মুছা সলিমুল্লাহ নামে মানবপাচার চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়। আটক সোহেল কক্সবাজারের এবং মুছা সলিমুল্লাহ কুমিল্লার বাসিন্দা। এ সময় তাদের ব্যবহৃত ট্রলারটি জব্দ করা হয়। তিনি আরো জানান, সংঘবদ্ধ দালালচক্র মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে উখিয়া ও টেকনাফ উপকূলের গভীর পাহাড়ি এলাকায় জড়ো করে। পরে তাদের সাগরে অপেক্ষমাণ ইঞ্জিনচালিত বোটে তোলে। দালালচক্র তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০/১২ হাজার টাকা করে অগ্রিম হাতিয়ে নেয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক জানান, মূলত দালালচক্রের ফাঁদে পড়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল এসব রোহিঙ্গাদের। প্রথমে ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে উপকূল থেকে রওনা দিয়ে তাদের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমায় অপেক্ষামাণ রেখে বড় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দালালচক্রের।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *