মনজু চৌধুরী: মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা -২০২২ এ পাস করেছে সুদীপ্তা দাশ স্বর্ণা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ,ঢাকা’।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাহারমর্দান গ্রামের মেয়ে সুদীপ্তা দাশ স্বর্ণা। তাঁর বাবার নাম নির্মল চন্দ্র দাশ, মায়ের নাম সুবর্ণা রাণী দে। গত কয়েক বছর আগেই তাঁর বাবা নির্মল চন্দ্র দাশ, মৃত্যুবরণ করেন। মা সুবর্ণা রাণী দে। তিনি বাহারমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাহারা দুই বোন ও এক ভাই।
উল্লেখ্য” এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। পাসের হার ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন কোটাসহ আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। এবার সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৫ জন ছাত্র। সরকারি মেডিকেলে চান্স প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা দুই হাজার ৩৪৫ জন।
পড়াশোনার হাতেখড়ি ‘দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুল ‘থেকেই। কে জি ওয়ান থেকেই এই স্কুলে পড়েছে সে। এবং ২০১৯ সালে এস এস সি পরীক্ষায় ও ২০২১ সালে বি এ এফ শাহীন কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা যায়, সুদীপ্তা দাশ স্বর্ণা এসএসসি পরীক্ষায় ১২২৫ নম্বর পায় সে যা মৌলভীবাজার সদরের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর।
তার ছোট বোন দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে ২০২১ইং সালে এসএসসি পাস করেছে। তার ছোট ভাই দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুলের রোকসানা আক্তার, সহকারী শিক্ষক (জীববিজ্ঞান) তিনি বলেন, তার এই সাফল্যে আমি ও আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকাগন অত্যন্ত আনন্দিত। সুদীপ্তা দাশ স্বর্ণা একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে আশা করছি আমরা।
মেধাবী এই শিক্ষার্থীর সাফল্যে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি এন্ড হাই স্কুলের শিক্ষকরা অত্যন্ত আনন্দিত। শিক্ষক শিক্ষিকাগন আশা করেন একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। তার এই সাফল্য অব্যাহত থাকুক।

