ডায়াল সিলেট ডেস্ক::পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়ার অধিকার ডেপুটি স্পিকারের আছে কি না, তা নিয়ে গত মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয় দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। আজ বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পরবর্তীতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বান্দিয়াল নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে সর্বসম্মিতক্রমে এই রায় ঘোষণা করেছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এটি স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির গত ৩ এপ্রিলের রুলিং ভুল ছিল।
পাকিস্তানের সংসদে গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব দ্রুত জনপ্রিয় হতে থাকে। গত ৩১ মার্চ ইমরান খান সরকারের জোটের দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক ‘মুত্তাহিদা কাওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টিও বিরোধী শিবিরে যোগ দেয়। ফলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরানের সরকার। অনাস্থা ভোটে তাঁর পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।
গত ৩ এপ্রিল দেশটির জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিবেশন শুরুর পর তা বাতিল করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি।
এরপর এক টেলিভিশন ভাষণে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘বিদেশি সহায়তায় সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দিতে আমি রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছি।’
ইমরান খানের ভাষণের অল্প পরে রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এ অবস্থায় বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টে যান। গত সোমবার শুনানি শুরু হওয়ার পরপরই মঙ্গলবার পর্যন্ত তা স্থগিত করা হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত ইমরান খানই প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন বলে ঘোষণা দেন আদালত।

