Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় বাড়িতে ঢুকে ইউপি চেয়ারম্যানের শিশুপুত্রকে কুপিয়ে হত্যাকরা আধ-ঘন্টার ব্যবধানে এরশাদ মোল্লা (৩৫) নামের হত্যাকারী ঐ ব্যক্তি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।
বুধবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি সদরপুর টিঅ্যান্ডটি ফোনের টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
একই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢেউখালী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বয়াতির ৮ বছর বয়সী ছেলে আল রাফসানকে কুপিয়ে হত্যা করেন এরশাদ। এ সময় চেয়ারম্যানের স্ত্রী দিলজাহান রত্না (৩৯) এগিয়ে এলে তাকেও কোপানো হয়। রত্নাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় ৭টার দিকে পাশের ভাঙ্গার নাছিরাবাদ উপজেলার বালিয়াহাটি বাজার এলাকায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হয়েছেন এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লা (২৯)। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করেছে।
নিহত এরশাদ ও আহত ইমরান সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের মোল্লাবাড়ির সানু মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাফসানকে হত্যা ও তার মা রত্নাকে জখম করে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অভিযুক্ত এরশাদ মোল্লা সদরপুরে টিঅ্যান্ডটি টাওয়ারের ওপড়ে চরে বসেন। দেখতে পেয়ে জনতা তাকে লাফ না দিতে অনুরোধ করে। তারা বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকেও জানায়। তবে পুলিশ আসার আগেই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এরশাদ মোল্লা টাওয়ার থেকে লাফ দেন।
ঘটনাস্থল থেকে এসআই কৃষ্ণ জানান, তারা টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাচ্ছেন। তবে এটি কার মরদেহ সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি।
এরশাদ দুই সন্তানের বাবা। তার স্ত্রীর নাম রাহিমুন। এরশাদ সম্প্রতি তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে গত সোমবার উপজেলা পরিষদে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজনুর রহমান সিকদারের মধ্যস্থতায় সালিস হয়। সভায় এরশাদকে তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব দেন। এরশাদ এ প্রস্তাব নাকচ করে দিলে সালিসদার দেনমোহর বাবদ সাড়ে তিন লাখ টাকা স্ত্রীকে আজ বুধবারের মধ্যে তিন লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের অনুমান করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদরপুরের আটরশি এলাকায় টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন এরশাদ মোল্লা (৩৫)। এর আগে ৭টার দিকে পাশের ভাঙ্গার নাছিরাবাদ উপজেলার বালিয়াহাটি বাজার এলাকায় গণপিটুনির শিকার হয়ে আহত হন এরশাদের ভাই ইমরান মোল্লা (২৯)।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে আহত অবস্থায় ভর্তি করেছে।

