Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মনজু চৌধুরী॥ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্ম প্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে ধর্ষণ, মানবপাচার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাই কারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নর হত্যাসহ যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জন সাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার (২৭) সঙ্গে তিন বছর আগে পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের রুকশিপাড়া এলাকার এক তুরুণী (২২)। পরিচয়ের সুবাদে ভালোবাসার গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রেমিক যুবক ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগেসাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে পাশ^বর্তী দেশের একটি শহরে নিয়ে যায় তরুণীকে। এ সময় তাঁকে (তরুণীকে) আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে যুবক। পরে বিয়ে করে তাঁরা। এরপর আবার ও সোহেলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১২ মে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন দিয়ে পাশ^বর্তী দেশে পাচার করা হয় ওই তরুণীকে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ১ নং আসামী সোহেল মিয়া (২৭), পিতা- কিবরিয়া আহমদ, মাতা- মোছাডলি বেগম, সাং- বেতাপুর, থানা- নবীগঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জ অদ্য ২৪/০৫/২০২২খ্রি. তারিখ সময় ১০.০০ ঘটিকায় মৌলভীবাজার জেলার সদর থানা এলাকা থেকে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণ ও আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত প্রায় ০৩ বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে তরুনীর সাথে পরিচয়ও সর্ম্পক হয়। সম্পর্কের জেরে যুবক সাতক্ষীরা জেলায় সীমান্ত দিয়েঅ বৈধ পথে গত ২০২১ সালের মার্চ মাসের দিকে পাশর্^বর্তী একটি শহরে নিয়ে যায় এবং সেখানে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করায়। তরুণী অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়েই চলতি বছর ২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের দিকে দেশে ফিরে আসে।
এর কিছুদিন পর যুবক ও দেশে ফিরে এসে তরুণীকে মিথ্যা আশ^াস ও প্রলোভন দেখায়। তরুণী যুবকের প্রলোভনে পড়ে এবং যুবকের অন্যান্য সহযোগীদের সহযোগীতায় তিন বিঘা করি ডোর দিয়ে তরুনীকে দহ গ্রামে নিয়ে যায়, এর পর যুবক এবং তার অন্যান্য সহযোগী তরুনীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মানবপাচার কারীর মূল হোতা যুবক ও তার সহযোগী তরুণীকে পাশ^বর্তী দেশে পাচার করে দেয়। ১৫-০৫-২০২২ খ্রি. তারিখ পাশ^বর্তী দেশের একটি শহর থেকে কৌশলে বাংলাদেশে ফিরে আসে ওই তরুণী।
এ ঘটনায় তিনি সোহেলকে প্রধান আসামিসহ ও মোট পাঁচজনকে আসামি করে লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রাম থানার মামলা নং- ১১, তারিখ- ২১/০৫/২০২২ ইং, ধারাঃ-৯(১)/৩০, ২০০০ নারী ও শিশুনিযার্তন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) তৎসহ ২০১২ সালের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৬(২)/৭/১০/১১ ধারায় গত ২১ মে রাতে মামলা করেন তরুণী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার কৃত প্রধান আসামী নিজের কৃত কর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

