ডায়ালসিলেট::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

হঠাৎ আবহাওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দুইদিন আগেও যেখানে বেশ গরমের অনুভূতি ছিল, সেই আবহাওয়ায় এখন শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভোরবেলা পড়ছে হালকা শিশিরও।

এখন চলছে মধ্য কার্তিক। এরপরই আসবে অগ্রহায়ণ মাস। তার আগেই সিলেটে হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। আগ্রহায়নে সারাদেশে ধানকাটা শুরু হয়। ধান কাটার পর গ্রাম বাংলায় হয় নবান্ন উৎসব। শিশিরভেজা সকাল আর খেজুরের মিষ্টি রসের মিতালি শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে রাতে শীতের অনুভূতি ভালোই বুঝা যাবে। যদিও ঋতুর হিসেবে শীত আসতে এখনও দেড়মাস বাকি। তবে বৈচিত্র্যের কারণে গ্রাম বাংলায় অনেক আগেই শীত নেমে যায়।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে হেমন্তকাল হচ্ছে শরৎ ও শীতকালের মধ্যবর্তী একটি পরিবর্তনশীল পর্যায়। দিনের শেষে তাপমাত্রার ব্যাপক পতনের ফলে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিকেলে হিম পড়তে শুরু করে। আর ঘাসের ওপর জমে শিশির। নগরবাসী বলছেন দুদিন ধরে ভোরে কুয়াশা পড়ছে ঘাসের ওপর। এছাড়া বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে থাকছে ঠাণ্ডা বাতাসের প্রবাহ। সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রবিবার থেকে তাপমাত্রা আবার কিছুটা বাড়বে। কিন্তু রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। শীত জেঁকে না বসলেও নগরের বিভিন্ন স্থানে শীতের পিঠা নিয়ে বসতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিন রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশ।

শুক্রবার সিলেটে সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল বলে জানিয়েছেন, সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।

তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘সিলেটে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এটা সাময়িক। রবিবার থেকে তাপমাত্রা আবারও কিছুটা বাড়বে। কিন্তু রাতের দিকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।’

শহরতলীর লাক্কাতুরা এলাকার বাসিন্দা শুভ্র দাস সিলেট মিররকে বলেন, ‘পাহাড়-টিলার কারণে এখানে সব সময় শীত একটু বেশি অনুভূত হয়। গত কয়েকদিন ধরে ভোরে ঘন কুয়াশা পড়তে দেখা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেও রাত ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতে হয়েছে। কিন্তু এখন রাতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে।’

চৌহাট্টা এলাকার চা বিক্রেতা অভি জানান, পৌষ মাস আসতে এখনও দেরি। এর আগেই সিলেটে শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ঠাণ্ডা বাতাস লাগছে শরীরে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত বাড়ছে।

এদিকে, আসন্ন শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নো মাস্ক নো সার্ভিসের নির্দেশনাও জারি করেছে সরকার। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান  বলেন, ‘ঠাণ্ডার কারণে সেকেন্ড ওয়েভ আসছে এমন ভাবনা ঠিক নয়। তবে যেহেতু শীতকাল শুষ্ক মৌসুম; সে কারণে হাঁচি-কাশির ড্রপলেট বাতাসে ভেসে থাকে। যার ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে নো মাস্ক, নো সার্ভিসের নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও হাত ধোঁয়ার বিষয়টিও সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *