ডায়ালসিলেট::
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: মুমিনুল হক পদোন্নতি পেতে জালিয়াতি করেছেন। এ ঘটনার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। তিনি প্রথমে হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের সার্জন হিসেবে যোগ দেন। ২০১১ সালে পদোন্নতিসহ চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্যে মন্ত্রণালয়ে তিনি আবেদন করেন।
২০১১ সালের ১০ জানুয়ারির ২০নং স্মারকে প্রকাশিত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ৫০৫ জন কর্মকর্তার চাকুরী স্থায়ীকরণের আদেশ জালিয়াতি করে তিনি নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে তিনি পদোন্নতি পান। এর কিছুদিন পরই তিনি সহযাগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) পদে পদোন্নতি নেন।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে পদোন্নতির পর পরই কলেজের ডেন্টাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন ডা: মুমিনুল হক। একই বিভাগে তার ৮ বছরের সিনিয়র ডাক্তার হিসেবে কর্মরত থাকলেও সেই সিনিয়ররা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হন। ২০১৩ সাল থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৮ বছর তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের শুরুতে তার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে-খোঁজ খবর নেয়া শুরু হলে গত এপ্রিল মাসে তিনি বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তার সিনিয়র ডা: তোফাজ্জল হোসেনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের শৃঙ্খলা-অধিশাখা থেকে সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে ডা: মুমিনুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। জবাবে তিনি অপরাধের বিষয়ে ক্ষমা চান।
এরপরই সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করা হয়। বিভাগীয় মামলা নং-৬৮/২০২০। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান গত ১৮ অক্টোবর ডা: মুমিনুল হককে অভিযোগনামার বর্ণনা করে বিভাগীয় মামলার নম্বর উল্লেখ করে পত্র দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ৯টি দপ্তরে এর অনুলিপি প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু আপনি উপর্যুক্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আবেদন করেছেন; যেহেতু আপনি লিখিত জবাবে অপরাধের সত্যতা স্বীকার করেছেন; যেহেতু আপনার উপর্যুক্ত কর্মকান্ড সরকারী কর্মচারি আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯ এর পরিপন্থী এবং সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচরণ হিসেবে গণ্য ; সেহেতু আপনাকে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) মোতাবেক অসদাচণের দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে যথোপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না, সে বিষয়ে এ নোটিশ প্রাপ্তির ১০ (দশ) কর্ম দিবসের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট কারণ দর্শানোর জন্যে নির্দেশ প্রদান করা হল।
এ/

