ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ  শুধু সালমান একা নন, তাঁর বাড়ি গ্যালাক্সির অন্য বাসিন্দারাও আইসোলেশনে আছেন। পরিবারের সব সদস্যকে আগামী ১৪ দিন সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেননি সালমান খান বা তাঁর পরিবার। তাঁর কর্মীরা যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পান, সেটা নিশ্চিত করেছেন সালমান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কর্মীদের চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সামনে সালমানের মা-বাবা সেলিম খান ও সালমা খানের বিবাহবার্ষিকী। ধুমধাম করে দিনটি উদযাপন করার কথা ছিল তাঁদের। পরিবারের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গেছে, আপাতত সেই উৎসব স্থগিত হচ্ছে। এ ছাড়া ‘বিগ বস’-এর আসন্ন ‘উইক এন্ড কা ওয়ার’ পর্বের জন্য সালমান খান শুটিংয়ে যাবেন কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

বলিউডে আবার করোনার হানা। এবার সালমান খানের বাড়িতে। সালমান খানের গাড়িচালক অশোক আর বাড়ির দুই কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁদের মুম্বাইয়ের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ তিন কর্মীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থেকেই আইসোলেশনে গেছেন সালমান খান। পিঙ্ক ভিলাসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে এ খবর।

লকডাউন ঘোষণার আগে থেকেই পানভেলে নিজের খামারবাড়িতে পরিবারের নিয়ে উঠেছিলেন সালমান খান। সেখানে টানা ৫ মাস থাকার পর গত আগস্ট মাসে মুম্বাইয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরেছেন। পরে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয় তাঁর পরের সিনেমা ‘রাধে’র শুটিং। করোনাকালে শুটিং করার জন্য ভারত সরকারের নির্ধারিত সব নিয়ম মেনে ১৫ দিন কাজ করেছিলেন তাঁরা। শুটিংয়ের কলাকুশলীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কিছু বাড়তি নিয়মকানুনও মেনে চলেছেন তাঁরা। যেমন প্রতিদিন যাতায়াত এড়ানোর জন্য মুম্বাইয়ের বাইরে একটি স্টুডিওতে শুটিং করা হয়। কলাকুশলীদের থাকার জন্য ভাড়া করা হয় হোটেলকক্ষ। যত দিন কাজ চলেছে, দলের কোনো সদস্য বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। লোকেশনে একজন চিকিৎসক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক দল ছিল। শুটিং ফ্লোরে স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখছিল ওই পর্যবেক্ষক দলটি। এ ছবিতে সালমানের সঙ্গে রয়েছেন তরুণ বলিউড তারকা দিশা পাটানি। পরিকল্পনা ছিল, ঈদে মুক্তি পাবে ছবিটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনার কবলে পড়ে ছবির কাজ পিছিয়ে যায়। ফলে মুক্তিও স্থগিত করা হয়।

শিল্পী এবং শিল্পী পরিবারের পাশাপাশি বলিউডের বিশাল বাজারেও থাবা বসিয়েছে করোনা। সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল ভারতের প্রেক্ষাগৃহ। মুক্তি পায়নি কোনো ছবি। গত ১৯ মার্চ থেকে ভারতে সিনেমা, টেলিভিশন ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজের শুটিং বন্ধ ছিল। ব্যয়বহুল শুটিং সেটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাতে। সব মিলিয়ে বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে রয়েছে ভারতের বিনোদনমাধ্যম।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *