ডায়ালসিলেট::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সিলেট করোনা আইসোলেশন সেন্টার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) হাসপাতালে ১০ হাজার লিটারের এই ট্যাংকটি স্থাপন করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি স্থাপনের ফলে হাসপাতালের রোগীদের অক্সিজেন সংকট দূর হবে।

দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সিলেট নগরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালকে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয় সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও শাহপরাণ হাসপাতালকে। প্রথমদিকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে ছিল না আইসিইউ সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী। পরবর্তীতে হাসপাতালে যুক্ত হয় আইসিইউ সুবিধা। তবে এতদিন এসব আইসিইউসহ অন্যান্য বেডে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হতো।

সিলেটসহ সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে সিলিন্ডারের অক্সিজেনের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় দেশের সব হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের জন্য চিঠি দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতেই কয়েকমাস ধরে শামসুদ্দিন হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের কাজ চলছিল। গতকাল ট্যাংকটি হাসপাতালে পৌঁছার পর তা স্থাপন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. জন্মেজয় দত্ত।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপনের কাজ চলছিল। গতকাল ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকটি স্থাপনের পর তা সম্পন্ন হলো। এটা দিয়ে আমরা আরও ব্যাপক এবং সহজভাবে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘১০-১৫ দিন আগেই ট্যাংক বসানো ছাড়া সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। তবে যে প্রতিষ্ঠান ট্যাংক সরবরাহ করার কথা ছিল তারা কিছুটা দেরি করে। তবে ট্যাংকটি এসে পৌঁছালে সেটি বসিয়ে এর মাধ্যমে অক্সিজেন সাপ্লাইও শুরু হয়ে গেছে।’

ডা. জন্মেজয় বলেন, ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের মাধ্যমে আমরা এখন সব ওয়ার্ডেই অক্সিজেন পোর্ট বসিয়েছি। আর বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ২০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। তবে আমরা রোগী রাখছি ১৫ জন। কারণ আইসিইউর বাকি ৫টা বেডের মধ্যে ২টা হচ্ছে ডায়লাইসিস বেড আর ৩টা এসডিও বেড।’

তিনি বলেন, ‘আগে আমাদের বারবার সিলিন্ডার পরিবর্তন করতে হতো। লিকুইড ট্যাংক স্থাপন করায় অনেক সহজেই অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারব। আর ১০ হাজার লিটার লিকুইড অক্সিজেন খুব দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ৫৫ জনের মতো রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ১৬ জন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *