ডায়ালসিলেট ::সিলেটে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’। করোনা সংক্রমণের হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তের জন্য এ সেবা চালু করা হয়েছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনলাইনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য সচিব মো.আব্দুল মান্নান বলেন, টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে দু’-চার দিনের মধ্যে মোবাইল ল্যাব চালু করা হবে। দু’টি মোবাইল ল্যাব চালু করা হবে প্রাথমিকভাবে। এগুলো আসকোনা ও দিয়াবাড়ির আইসোলেশন সেন্টারের আশপাশে নমুনা পরীক্ষা করবে।

অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সিলেটসহ দেশের ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাকি ৯ জেলায় জেলা সদর হাসপাতালে এ টেস্ট করা হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।

জানা যায়, যাদের মধ্যে তিন দিন বা এর বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে, শুধুমাত্র তাদের নমুনার অ্যান্টিজেন টেস্ট হচ্ছে। যাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই, তাদের নমুনা স্বাভাবিকভাবে আরটি-পিসিআর ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিইবি বিভাগে আরটি-পিসিআর ল্যাব আছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

তিনি বলেন, ‘শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আজ থেকে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্ট। এর মাধ্যমে আধাঘন্টার মধ্যে আমরা কেউ আক্রান্ত কী-না, তা জানতে পারবো। যাদের শরীরে ৩ দিন ধরে করোনার উপসর্গ (জ্বর, সর্দি, কাঁশি প্রভৃতি), আছে, তাদেরকে অ্যান্টিজেন টেস্টের আওতায় আনা হবে। উপসর্গ না থাকলে নমুনা পরীক্ষা হবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য আমরা ন্যাসাল সোয়াব (নাকের ভেতর থেকে নমুনা) নেব। প্রত্যেকের দুটি করে স্যাম্পল নেওয়া হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টে কেউ পজিটিভ হলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর কেউ নেগেটিভ হলে অধিকতর নিশ্চিতের জন্য আরেকটি নমুনা পরীক্ষা করা হবে আরটি-পিসিআর ল্যাবে।’

তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সরকার কোনো ফি নির্ধারণ করেনি। এজন্য এটা বিনামূল্যে করা হবে। যতো সংখ্যক রোগী আসবেন, ততো সংখ্যক রোগীর পরীক্ষাই করা হবে।’

অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সিলেটে ৫০০ কিট রয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমাংশু লাল রায়। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই আরও কিট পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *