ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দিতে থাকে প্রেমিকা। তালবাহনা করায় প্রেমিকের বাড়িতেও অবস্থান নিয়েছিল বিয়ের দাবিতে। এতেই প্রেমিকার উপর ক্ষুব্ধ হয় প্রেমিক প্রাইভেটকার চালক আল-আমীন। পরে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে বন্ধুর সহযোগিতায় প্রাইভেটকারের ভেতর প্রেমিকা নাজমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাষণ্ড, লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেয় ডোবায়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বুধবার রাতে ঘাতক প্রেমিক আল-আমীন ও তার সহযোগী সাজ্জাদকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে নাজমা হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তার আল-আমিন হোসেন (২৮) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বরইচুটি গ্রামের মোজাম্মেল হক ও সাজ্জাদ হোসেন (২৮) খোলার টেকি গ্রামের শাহাজাহান মোল্লার ছেলে।

পিবিআই গাজীপুর ইউনিটের ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ৬ ডিসেম্বর সকালে কালিয়াকৈরের চাঁনপুর এলাকার একপি ডোবা থেকে এক অজ্ঞাত নারীর বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা নিশ্চিত হন লাশটি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরদোরতা গ্রামের মৃত ওমর আলী শেখের মেয়ে নাজমা খাতুনের (২৫)। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শিপন মিয়া উরফে টিক্কা কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পিবিআই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. রফিক আহমেদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাতে প্রথমে নাজমার প্রেমিক আল-আমিন হোসেনকে আশুলিয়াল জিরানী বাজার ও পরে সাজ্জাদ হোসেনকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়র থেকে গ্রেপ্তার করেন।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমীন স্বীকার করেছেন, তিনি অবিবাহিত। অপরদিকে নাজমা বিবাহিত এবং তার সাড়ে তিন বছরের একটি সন্তান আছে। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় সন্তানকে মায়ের কাছে সিরাজগঞ্জ রেখে প্রায় তিন বছর আগে কালিয়াকৈরে এসে গার্মেন্টে চাকরি নেন। এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ে করা নিয়ে মতপার্থক্যেকের কারণে তিনি বন্ধুর সহযোগিতায় নাজমাকে হত্যা করেন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, নাজমার নাকের নাকফুল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *