ডায়ালসিলেট ডেস্কঃঃ মেধাবি ছাত্র ছিলেন সুকান্ত গোপ। সিলেট এমসি কলেজ থেকে পাশ করার পর সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু কাঙ্খিত চাকরি না পেয়ে হতাশা পেয়ে বসে থাকে। হতাশা ও অবসাদ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার যাত্রাপাশা থেকে সুকান্তের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুকান্ত গোপ (৪০) যাত্রাপাশা এলাকার প্রয়াত সুধীর চন্দ্র গোপের পুত্র। পেশায় চিকিৎসক সুধীর চন্দ্র গোপ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। সুকান্ত গোপ তার ছোট ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ছোটবেলা থেকে পড়ালেখায় খুব ভালো ছিলেন সুকান্ত। পরিবারের লোকজনের স্বপ্ন ছিল তাকে ঘিরে। ১৯৯৯ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করে সরকারি চাকুরির জন্য হৈন্য হয়ে ঘুরতে থাকেন সুকান্ত। চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়া সুকান্ত
বেশ কিছু দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
সুকান্তের বড় ভাই হিজলা নাদামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র গোপ বলেন, আমরা ছয় ভাই বোনের মধ্যে সুকান্ত গোপ ছিল পড়ালেখায় খুব ভালো। তাকে নিয়ে সবার স্বপ্ন ছিল। হঠাৎ করে সে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। অনেক চেষ্টা করে তাকে আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারিনি। বুধবার রাতে পরিবারের লোকজনের অগচরো সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সুকান্তের বন্ধু একই গ্রামের বকুল গোপ জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল সুকান্ত। তার সহপাঠিরা সবাই সরকারি চাকরি করছে। সে কিছু করতে পারছে না বলে হতাশায় ভুগছিল। এসব হতাশা থেকে আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ে। তার এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে।
মরদেহ উদ্ধারকারী জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মির্জা শাখাওয়াত জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাগ্রস্ত হয়ে এ যুবক আত্মহত্যা করেছেন। এঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

