চুনারুঘাটে শালিকাকে হত্যার ‘আত্মহত্যা’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন সোহাগ নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে নিহতের দুলাভাই সোহাগ (৩০) কে আটক করে পুলিশ। গত মঙ্গলবার উপজেলা সদর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আলী আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত জুনেরা খাতুন (১৯) শেখেরগাঁও এলাকার আব্দুর ছিতারের মেয়ে। হত্যার পর দুলাভাই নিজেই শালিকার লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করলে আত্মীয়দের সন্দেহ হয়।
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় বুধবার দিনগত রাতে সোহাগকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আব্দুর ছিতার মিয়া।
এদিকে, আটকের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেয় সোহাগ।
জানা গেছে, ১০ বছর আগে চুনারুঘাট উপজেলার শেখেরগাও গ্রামের আব্দুর ছাতিরের মেয়ে ছিতারাকে বিয়ে করে সোহাগ। এরপর থেকে সে শশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
কয়েক বছর আগে সোহাগের স্ত্রী ছিতারা জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব পাড়ি জমান। এরপর জুনেরাও প্রবাসে যান। কিন্তু, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে জুনেরা বেশিদিন থাকতে পারেননি। গত দেড় মাস আগে তিনি দেশে ফিরেন।
কিছুদিন ধরে জুনেরার বড় বোনের মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ায় প্রতিবাদ জানান তিনি। দুলাভাই সোহাগকে শাঁসিয়ে দেন যাতে ভাগনিকে এরকম দৃষ্টিতে না দেখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শালিকাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন সোহাগ।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ বলেন, নিহত জুনেরার পিতা মামলা দায়ের পর আমরা আসামী গ্রেপ্তার করি। আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে সোহাগ।

