প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
ডায়ালসিলেট ডেস্ক:: বৈশ্বিক মহামারীতে প্রতিবেশী দেশের প্রতি চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ভারত করোনাভাইরাসের যে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠাচ্ছে, তা বুধবারই বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি এ সময় টিকা কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সেই পদ্ধতি সম্পর্কে জানান। বলেন, এসব টিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিএমএসডি, ইপিআই এবং তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্সের কোল্ডস্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে।
বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
এর বাইরে উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত পাঠাচ্ছে, তাও সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা।
স্বাস্থ্যের ডিজি জানান, সরকারের কেনা তিন কোটি ডোজ টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর সব জেলায় একসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা।
টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু টিকা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক সপ্তাহ পর সব জেলায় শুরু করা হবে। এটিই আমাদের পরিকল্পনা।
সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠপর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, টিকা প্রয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হবে, সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।
ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা কখন কাকে দেওয়া হবে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, এখনও এ বিষয়ে নির্দেশনা পাইনি। মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে জানাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ঢাকা শহরে তিন শতাধিক টিকাকেন্দ্র হবে। সরকার বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে চিকিৎসা দেবে সরকার। সব গণমাধ্যমকর্মী করোনার টিকা পাবেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সোমবার পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৩২৯ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে সাত হাজার ৯২২ জনের। করোনায় সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৩ হাজার ১৭৩ জন।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech