ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রকাশকদের দাবির মুখে অবশেষে মেল হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী গণমাধ্যমকে জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুমতি মিলেছে। আমরা ১৮ মার্চ থেকে বইমেলা করব। তবে কত দিন মেলা চলবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করে কত দিন মেলা চলবে, সেটি ঠিক করা হবে।

১৯৭২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির গেইটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৭ সালে তার সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দেন।

১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে এ বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেন। পরের বছর মেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি।

১৯৮৩ সালে মনজুরে মওলা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকার সময় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ নামে এ মেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও তা আর করা যায়নি। পরের বছর ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে বইমেলা’র সূচনা হয়।

মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের এই বইমেলা এখন বাঙালির মননের মেলায় পরিণত হয়েছে।

প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি এ মেলার পর্দা উঠলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোট থাকায় গত বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলা একদিন পিছিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়।

ততদিনে চীন ছাড়িয়ে করোনাভাইরাস অন্যান্য দেশে পৌঁছাতে শুরু করলেও বাংলাদেশে এর প্রকোপ দেখা দেয়নি। ফলে ফেব্রুয়ারির শেষে নির্বিঘ্নেই মেলার সমাপ্তি ঘটে।

বাংলা একাডেমির তথ্য অনুযায়ী, গতবছর মেলায় নতুন বই আসে ৪ হাজার ৯১৯টি। সব মিলিয়ে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকার বই বিক্রি হয়।

মহামারির কারণে গতবছর মুজিববর্ষের বিপুল আয়োজন কমিয়ে ফেলতে হয়েছে। প্রায় সব ধরনের উৎসব আয়োজনেই বিধিনিষেধের সীমা টেনে দেওয়া হয়েছে অতি ছেঁয়াচে এই ভাইরাসের কারণে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *