রাজধানী ঢাকার অন্যতম প্রধান সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রকট ও জটিল সমস্যাটি হলো যানজট। যা সময় ও কাজ দুটোরই ক্ষতি করে থাকে। গণপরিবহনে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগের জন্য রাজধানীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। ২০২২ সালের জুন মাসে গাজীপুর-বিমানবন্দর (ঢাকা) অংশের কাজ শেষ হবে। এই রুটটি চালু হলে সাড়ে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ আধাঘণ্টা সময় লাগবে, যা রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতে দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গাজীপুর-টঙ্গী-বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি সড়ক নির্মাণে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর একনেক সভায় ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)’ অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছরেই এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তবায়নকাজ চলাকালে ২০১৮ সালে দুই হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়িয়ে চার হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়। সরকারের পাশাপাশি এডিবি, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি), গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (ডিইএফ) অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ আগামী বছরের জুনে শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিআরটি প্রকল্প সম্পর্কে সংসদীয় কমিটিকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ও ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়নকাজে ধীরগতি ছিল। কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

