ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরের সিটি লভারসিজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মুক্তিযোদ্ধাসন্তান জলিল মিয়াকে হত্যার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। শুক্রবার (৫ মার্চ) রাতে নিহতের বড় ভাই খলিল মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফি ও তার দুই ভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।

এদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে নিহতের মরদেহ আলীনগর বস্তিতে পৌঁছার পর রাত সাড়ে ৮টায় জানাজার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

ছুরিকাঘাতে নিহত অটোরিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় আজ শনিবার (৬ মার্চ) সকালে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সরেজমিনে ঘটনাস্থল শমশেরনগরের সিটি লভারসিজ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকা পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এরপর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া নিহতের বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে পুলিশি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, শুক্রবার রাতে নিহত অটোরিকশাচালক জলিল মিয়ার বড় ভাই খলিল মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফিকে। তার সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আসামি হিসেবে রয়েছেন তার ছোট ভাই জেলা যুবদলের নেতা গোলাম রাব্বানী তৈমুর, ভাই কমলগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাম মুগ্নি মুহিত, সাইফুল ইসলাম ও আলম মিয়া। এছাড়া আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আগে গ্যাস নিতে কারের লাইনে চলে যান অটোরিকশাচালক জলিল মিয়া। এ নিয়ে গ্যাস ভর্তি করতে আসা কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া শফির সঙ্গে তার তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে জলিলকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জলিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *