প্রকাশিত: ১২:৫৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২১
নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের ২পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর পৌর এলাকায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরণের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মোঃ আলাউদ্দিন। আহত হন অর্ধশতাধিক। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খাঁনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারে সভা করে মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকরা। সভা শেষে এক পর্যায়ে এসে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। দফায় দফায় ঘটা ওই সংঘর্ষের মধ্যে রাত ৮টার দিকে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সমর্থকরা মিছিল বের করে। তখন বাদলের সমর্থকদের সাথে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওই সময় ভাঙচুর করা হয় দোকানপাট ও অটোরিকশা। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। ঘটনার পর ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহত আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়ে।
নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ ১৩ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। আলাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষে ২পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসন বুধবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরণের সভা- সমাবেশ ছাড়াও এক সঙ্গে ৩জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech