Last updated on জুলাই ১৪, ২০২১ at ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ডাযালসিলেট ডেস্ক::দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনে একমত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান দুই প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারে ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই ও নবায়ন হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস সচিব বলেন, প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে যৌথ ফিজিবিলিটি স্টাডি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের এখন দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) যাওয়া উচিত।

বৈঠকে বেসরকারি খাতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কার বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এহসানুল করিম জানান, বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে শ্রীলঙ্কান উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরে বিনিয়োগ করেছে। আমরা শ্রীলঙ্কান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং হাইটেক পার্কগুলোতে আরো বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই। ধান চাষ, স্বচ্ছ পানিতে মাছ চাষসহ কৃষি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের ওষুধ আমদানি করে শ্রীলঙ্কা লাভবান হতে পারে। জরুরি রেসপন্স, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমন বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব সহকারে দেখে। আগামী বছর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে দু’দেশের বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানান মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। বাংলাদেশের ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাণিজ্য সেক্টর বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি ধারণার প্রশংসা করেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। এদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনে আগ্রহ প্রকাশ করেন মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বলে জানান এহসানুল করিম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। সন্ধ্যায় তিনি তার সফর শেষ করে কলম্বো ফিরে যান।

নতুন সই এবং নবায়ন হওয়া ঢাকা-কলম্বো ৬ সমঝোতার বিস্তারিত:এদিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সমাপনীতে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে যে ৬টি সমঝোতা স্মারক সই এবং নবায়ন হয়েছে তা হলো- যুব উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ ও শ্রীলঙ্কার কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ পলিসি এর মধ্যে সমঝোতা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শ্রীলঙ্কার টার্সিয়ারি অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন কমিশনের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা বিনিময়ে সমঝোতা, বাংলাদেশের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে শ্রীলঙ্কার সহায়তা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিস এবং কলম্বোর লক্ষণ কাদিরগামার ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের মধ্যে সহযোগিতা এবং ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল মেয়াদে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময় সমঝোতা।

কানেক্টিভিটি ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে জোর: এদিকে কানেক্টিভিটি জোরদারের মাধ্যমে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এজন্য অগ্রাধিকার বাণিজ্য ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, কোস্টাল শিপিং চুক্তি, আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। শনিবার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কানেক্টিভিটি হলে সবার উপকার। শ্রীলঙ্কাও কোস্টাল শিপিং চুক্তি নিয়ে মোটামুটি রাজি। তারা বলছে বেসরকারি খাত এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে। যখন কোস্টাল সার্ভিস চালু হবে তখন একাধিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে।  বিমানপথে কনেক্টিভিটি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে অনেক শ্রীলঙ্কান কাজ করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কানেক্টিভিটির ওপর অনেক জোর দেয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কানরা বিশ্বাস করে কানেক্টিভিটি এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আমাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য অন্য দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। আমরা দক্ষিণ এশিয়াতে পণ্যের বাজার বাড়াতে পারি, আঞ্চলিক বাণিজ্য যদি বৃদ্ধি করতে পারি তবে অন্যদিকে আমাদের তাকাতে হবে না। তারাও এই নীতির ওপর জোর দিয়ে বলেছে, এটাই এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ। ২০১৭ সালে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার কথা থাকলেও গত তিন বছরে এটি কেন হয়নি-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দিক থেকে আমরা বিষয়টিতে সম্মত হয়েছি, শ্রীলঙ্কা এক্ষেত্রে কিছুটা ধীরগতিতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ২০১৭ সালে এই বিষয়ে (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) সম্মত হওয়ার পরে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক পরিবর্তন শুরু হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। এখন আমরা সম্মত হয়েছি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির যে স্টাডি সেটি চলবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাণিজ্য চুক্তি করবো।  কোস্টাল শিপিং চুক্তি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কলম্বো বন্দর বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। আমরা উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এটি আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে। ২০১৭ সালে তৎকালীন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার সফরের সময়ে অনেকগুলো চুক্তি সই হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে পাঁচটি চুক্তি নবায়ন হয়েছে সেগুলো প্রতিটি মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে যখন প্রেসিডেন্ট তখনকার আমলে সই করা। আমরা আশা করি, উভয়পক্ষ এগুলো বাস্তবায়ন করবে। দু’দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কলম্বোতে বোমা হামলার বিষয়টি শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। আমরা বলেছি, এক্ষেত্রে আমরা গোটা সমাজকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী  (শেখ হাসিনা) বলেছেন এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা বলেছি, সমুদ্র নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি। যাতে করে অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে জোর রাজাপাকসের:
ওদিকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নিজ নিজ অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে। শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রাজাপাকসে এ বিষয়ের ওপর জোর দেন। বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে গেলে রাষ্ট্রপতি তাকে স্বাগত জানান। সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ নিজ নিজ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। প্রেস সচিব বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, “বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে নানা ইস্যুতে একই মত পোষণ করে। দু’দেশ তথ্য-প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পর্যটন ও সেবাখাতে যথেষ্ট উন্নয়ন করেছে। উভয় দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এসব খাতের উন্নয়নে আরো বেশি সুযোগ তৈরি হবে। তিনি দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার প্রায় ৩০ হাজার কর্মী বিভিন্ন উৎপাদনশীল ও সেবাখাতে কাজ করে। এর মাধ্যমে তারা দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অবদান রাখছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল ও প্রকৌশল খাতে লেখাপড়া করে। বাংলাদেশ আরো বেশি শ্রীলঙ্কান শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সুযোগ দিতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন. বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কাজে লাগাবার যৌথ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং শ্রীলঙ্কার শিক্ষামন্ত্রী জি আই পেরিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজাপাকসে বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে পরিদর্শন বইতে সই করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *