ফাইল ছবি

ডায়ালসিলেট ডেস্ক:অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান।

তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এফিডেভিট শাখার সবাইকে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

তবে কতজনকে বদলি করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।

এর আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও চলা অনিয়ম রোধ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এক মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

সোমবার এক মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে থাকার কথা থাকলেও সেটি ৮৯ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়। এই অনিয়মের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, হলফনামা (এফিডেভিট) শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও অনিয়ম রুখতে পারছি না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কী আর করব? এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসালাম, এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে।

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা ওপর নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে।

নির্ধারিত মামলার শুনানি করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘একটি মামলা আজ (সোমবার) তিন নম্বর সিরিয়ালে (আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়) থাকার কথা। কিন্তু অদৃশ্যভাবে তা ৮৯ নম্বর সিরিয়ালে গেছে।’ কীভাবে গেলো, তা আপিল বিভাগের কাছে জানতে চান তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না।’

এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। তবে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। পরে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *