প্রকাশিত: ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২১
মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারী। এর মধ্যে নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, ইসলামপুরে বিক্ষোভ করেছেন।
তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। আসন্ন পহেলা বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে দোকানপাট খুলে দেওয়া না হলে ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানেও একই দাবিতে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খুলে দেওয়ার দাবি করেছেন। এর মধ্যে সোমবার চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেট মালিক সমিতির কার্যালয়ে বৈঠক করেন ঢাকা দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও বইমেলা চলছে, খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রম। শুধু মার্কেট বন্ধ। তারা প্রশ্ন তোলেন, বইমেলা, অফিস, শিল্প-কারখানা থেকে করোনা ছড়ায় না, শুধু মার্কেট থেকেই ছড়ায়? মার্কেট বন্ধ রেখে ব্যবসায় ধস নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা চালাবেন। এমন শর্তে দোকান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখ ও ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ ছিল। কোনো ব্যবসা করতে পারেননি। এবারো পহেলা বৈশাখ ও ঈদের আগে মার্কেট বন্ধ রাখা হলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই নতুন এই পরিস্থিতি পথে বসিয়ে দেবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। এর আগে তারা দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে গত রোববারও বিক্ষোভ করেছিলেন।
দোকান খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভের বিষয়ে গাউছিয়া মার্কেট ও ঢাকা দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামরুল হাসান বাবু বলেন, লকডাউনের মধ্যেও বইমেলা, শিল্প-কারখানা ও অফিসের কার্যক্রম চলছে। শুধু মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে তারা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন। পহেলা বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে তারা দোকানে নতুন পণ্য মজুদ করেছেন। সেগুলো বিক্রি করতে না পারলে দোকানের কর্মচারীদের বেতন দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণ, স্বর্ণলংকার বন্ধক ও সুদে টাকা এনে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখায় তারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় তারা লকডাউন মানি না, মানব না, স্বাস্থ্যবিধি মানব, দোকানপাট খুলব ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া বলেন, দাবি শুধু একটাই-লকডাউনের বিধিনিষেধ যতই থাকুক, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আগ্রহী। দোকানপাট বন্ধ থাকলে রুটি-রুজিও বন্ধ হয়ে যাবে। সামনে ঈদ, তবে সেটা বড় কথা নয়, খেয়ে বাঁচতে হবে, সেই বাঁচার অধিকার চাই।
ডেন্ডি টেইলার্সের মালিক আক্কাস আলী জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট চালু রাখতে চাই। সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরেও দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দোকান মালিক ও কর্মচারীরা। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয়, গরিব মারার লকডাউন, আমরা মানি না, মানব না; আগে মানুষের পেটে ভাত দিন, তারপরে লকডাউন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা সকাল থেকে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখার দাবি জানান। তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech