প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২১
প্রায় ২১ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ঘোষিত রায়ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসেছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথরেফারেন্স এসেছে বলে জানা গেছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলার এজাহার, চার্জশিট, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও রায়সহ ১ হাজার ৮১৭ পৃষ্ঠার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদন্ড দেন। তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ড প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, সরোয়ার হোসেন মিয়া, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ, মাহমুদ আজাহার ওরফে মামুনুর রশিদ ওরফে মাহমুদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল খান ওরফে রাশেদ খাঁ, তারেক হোসেন ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, আ. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান ওরফে হাসান ওরফে মেহেদী হাসান, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ওরফে দেনত আলী মুন্সী, মাওলানা রফিকুল, মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল ওরফে আবু মোছা হারুন, মোছাহেব হাসান ওরফে রাশু এবং শেখ মো. এনামুল হক।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ৯ জন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক। রায় ঘোষণার দিন ৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পলাতক ৫ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় এবং গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করে ২৩ মার্চ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করে।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
Address: Kaniz Plaza, Zindabazar, Sylhet
United Kingdom, London Mobile :+447438548379
dialsylhetnews@gmail.com
Design and developed by AshrafTech