ডায়ালসিলেট::

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর টিকরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী টিকরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর এলাকাবাসী ধাওয়া করে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আটককৃতরা হলেন- লাউতা ইউনিয়নের দক্ষিণ টিকরপাড়া গ্রামের মৃত ছাইদ আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ (২৮) ও উত্তর গাঙপাড় এলাকার মৃত আব্দুর খালিকের পুত্র মিশুক আহমদ (৩০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘরের বাইরে থাকা টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে ঘর থেকে বের হয় ১২ বছর বয়সী ওই শিশু। এ সময় পূর্ব থেকে ওত পেতে ছিলেন ফয়ছল ও মিশু। তারা জোরপূর্বক ওই শিশুকে তুলে নিয়ে পাশের একটি নির্জন জায়গায় যায় ও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যান ওই দু’জন। এ সময় শিশুটির পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেন এবং পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে।

এ ঘটনায় বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আটক দুইজনের বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, ‘আটক দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *