বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা ও বিদেশে নিষেধাজ্ঞা আদালতের নির্দেশ

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১

বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা ও বিদেশে নিষেধাজ্ঞা আদালতের নির্দেশ

জাতীয় ডেস্ক ::

গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। সায়েম সোবহান তার বিদেশ যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক মোল্লা আবুল হাসান।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

আবেদনে বিচারক আগামী ৩০ মের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে গুলশান থানা পুলিশ। পরে মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ায় রাতে গুলশান থানায় মামলা করেন তার বোন। এতে আসামি করা হয় বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে । মুনিয়া মিরপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মৃত শফিকুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘি এলাকায়।

পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এসব তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করার পাশাপাশি মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এই তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের পর তার বোন বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মেয়েটির সঙ্গে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডির সম্পর্ক দুই বছরের। এমডি এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্ল্যাটে রাখেন। পরে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। তবে মার্চে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন। ২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। সে পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মেয়েটির সঙ্গে ওই এমডির মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, যে কোনো মুহূর্তে তার যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। এই ফোনের পর কুমিল্লা থেকে সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। তবে গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি।

ডিসি সুদীপ বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে এলে ওই এমডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গুরুত্ব বিবেচেনায় গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার তদন্ত করছেন জানিয়ে ডিসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসবে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া এক লাখ টাকা। অগ্রিম দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।

0Shares

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ