ডায়ালসিলেট ডেস্ক:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন— আবুল বাশার রুবেল, আরমান পিয়াস, রায়হান আলম সিদ্দিকি, মো. জোবায়ের, মেহেদী হাসান রাহাত, মেহেদী হাসান, রাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সোলাইমান ইসলাম, মো. জাকারিয়া, আরাফাত হোসেন।

মঙ্গলবার (৪ মে) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে দেশে অবৈধ বিট কয়েন ব্যবসার মূলহোতা ও অনলাইনে প্রতারণার অভিযোগে ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমনসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১ এর একটি দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৯টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিনটি ল্যাপটপ, ১৫টি মোবাইল ফোন, একটি ট্যাবলেট ফোন ও বিবিধ নথিপত্র জব্দ করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চক্রের মূলহোতা ইসমাইল হোসেন সুমন ওরফে কয়েন সুমন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর ২০১৩ সালে ছোট্ট একটি দোকানে বাচ্চাদের খেলনা ও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি শুরু করেন বিট কয়েনের ব্যবসা। গড়ে তোলেন বেসিক বিজ মার্কেটিং নামে অনলাইন আউট সোর্সিং প্রতিষ্ঠান।

এর আড়ালে অবৈধ বিট কয়েন ও অনলাইন বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন সুমন। ওই ব্যবসার সত্ত্বাধিকারী ও মূলহোতা সুমন শুরুতে একটি ছোট অফিস থাকলেও তা বড় হয়, বাড্ডায় তিনটি ফ্লোরে ৩২ জন কর্মচারী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি তিনটি শিফটে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।

ভার্চুয়াল ওয়ালেটের মাধ্যমে অবৈধ ও প্রতারণামূলক ব্যবসা বিট কয়েনের মাধ্যমে সুমন বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার ঢাকায় দু’টি ফ্ল্যাট, প্লট ও সুপার শপের ব্যবসা রয়েছে। সুমনের রয়েছে একাধিক ভার্চুয়াল ওয়ালেট। যেখানে বিট কয়েনের মাধ্যমে অর্জিত লাখেরও বেশি ডলার মজুত রয়েছে। গত এক বছরে তিনি বিট কয়েনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ১২ থেকে ১৫ লাখ ডলার লেনদেন করেছেন।

সুমন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ই-মার্কেটিং সাইটে আকর্ষণীয় মূল্যে বিজ্ঞাপন দিতেন। পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করতেন। কেউ যদি তার পণ্য ক্রয় করতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতেন তা তিনি তা হ্যাক করতেন ও টাকা আত্মসাৎ করতেন।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *