ডায়ালসিলেট ::

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রেলওয়ে স্টেশন কলোনি থেকে মো. নঈম ও তসলিমা ঝর্ণা দম্পতির আট মাস বয়সী ছেলে মো. ফারহান চুরি হয়েছিল। আদর করার ছলে শিশুটিকে নিয়ে চম্পট দেয় প্রতিবেশী সুলতানা বেগম সুমি। সোমবার (৩১ মে) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ হবিগঞ্জের বাহুবল থানা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার কাছে হস্তান্তর করেছে।

এর আগে এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো- বাহুবল থানার তিতারকোনা গ্রামের খলিল পাটোয়ারীর ছেলে মো. ইসমাইল ও একই জেলার চুনারুঘাট থানার দক্ষিণ নলপটি গ্রামের মো. খোকনের স্ত্রী সুলতানা বেগম সুমি।

পুলিশ জানায়, নঈম অটোরিকশা চালক। তসলিমা বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। গত ১২ ডিসেম্বর তাদের বাসায় আসে পূর্বপরিচিত সুলতানা বেগম সুমি। সে শিশু ফারহানকে আদর করতে কোলে তুলে নেয়। তসলিমা বাসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে এ সুযোগে শিশুটিকে নিয়ে চম্পট দেয় সুমি। এরপর পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারা ৯০০ টাকা দিলেও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি সুমি। পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে ইসমাইলের কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। ইসমাইল শিশুটিকে লালনপালন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ওই মাসে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তসলিমা।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, মামলা হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শিশুটির অবস্থান সিলেটে শনাক্ত হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *