সরকারি চাকরি বয়সসীমা ৩২ করার দাবি চাকুরি প্রত্যাশী যুবকেরা

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২১

সরকারি চাকরি বয়সসীমা ৩২ করার দাবি চাকুরি প্রত্যাশী যুবকেরা

জাতীয় ডেস্ক ::

গতকাল রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘চাকুরি প্রত্যাশী যুব প্রজন্ম’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে করোনার কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ করার দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশী যুবকেরা।

তাঁরা দাবি করেন, করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের জীবন থেকে দুই বছর হারাতে বসেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭ থেকে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এ করোনাকালে প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা হারিয়েছেন।

করোনার শুরুতে যাঁদের বয়স ২৮ ছিল, তাঁরা এখন ৩০–এর কাছাকাছি। তাঁরা সরকারি চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতা হারাতে চলেছেন শুধু বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ার কারণে। যাঁরা স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত বর্ষে ছিলেন, তাঁরা শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। তাই সব কিছু বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সবার জন্য স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করতে হবে।

চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বা আবেদনের বয়সসীমা ৩০ হলেও বিসিএস স্বাস্থ্য ও জুডিশিয়ারির ক্ষেত্রে ৩২ বছর, অন্যদিকে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা ৩২ বছর। ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ আর মহান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য হয় ৬০। অবসরের এ দু-তিন বছর বাড়ার কারণে এ সময় তেমন চাকরি নিয়োগের সার্কুলার আসেনি। ১৯৯১ থেকে ২০২১—এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়েনি এই ৩০ বছরেও। অবসরের বয়স যেহেতু দুই বছর বেড়েছে, সে ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়স দুই বছর বাড়ালে সেটাও আর সাংঘর্ষিক হয় না।

সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, ইতিমধ্যে তাঁরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও সরকারদলীয় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এ ছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের পক্ষ হতে প্রায় দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ডিএস/পিএম

0Shares