ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: বাবার কাঁধটা কি অন্য সবার চেয়ে বেশী চওড়া? তা না হলে কী করে সমাজ সংসারের এত দায়ভার অবলীলায় বয়ে বেড়ান বাবা। বাবার পা কি অন্য সবার চেয়ে অনেক দ্রুত চলে? নইলে এতোটা পথ এত অল্প সময়ে কী করে এত শক্ত করে সব কিছু আগলে রাখেন বাবা। বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বট গাছের ছায়ার চাইতেও বড়। সে তার সন্তানকে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এ রকম হাজারও কথা বলা যাবে বাবাকে নিয়ে, এরপরও শেষ হবে না সন্তানের প্রতি, সংসারের প্রতি বাবার অবদানের কথা। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। আর বাবার তুলনা বাবা নিজেই।

আজ বিশ্ব বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানরা বাবাকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর জন্য জুন মাসের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস পালিত হয়। তৃতীয় রোববার হিসেবে এ বছর ২০ জুন পালিত হচ্ছে বাবা দিবস। বাবার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, জানানোর জন্যই এই দিবস।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। মিসেস গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটনের উদ্যোগেই মা দিবসের আদলে দিবসটি পালিত হয়। ১৯০৭ সালের একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ২১০ জন বাবার স্মৃতির উদ্যোগে সেবারের দিবস। তবে তা নিয়মিত হয়নি। তার দুই বছর পর ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনোরা স্মার্ট ডট নতুন পরিসরে বাবা দিবস পালন করে। সেনোরাকেই বাবা দিবসের উদ্যোক্তা মনে করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় এ দিবসটি। এই দিনের মূল বিষয় হচ্ছে গিফট। অর্থাৎ এদিনে ছেলেমেয়েরা তাদের বাবাদের কোনো না কোনো গিফট দিতে খুব পছন্দ করে। আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে অভিভূত হন। অনেকে ঘটা করে দিবসটি পালন করে থাকেন। তবে এবার করোনার কারণে আয়োজনে হয়তো ভাটা পড়বে, কিন্তু কমতি থাকবে না বাবার প্রতি ভালোবাসার। পাশাপাশি এ দিবসকে ঘিরে গণমাধ্যমেও নানা আয়োজন থাকে।

ডায়ালসিলেট/এম/এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *