ডায়ালসিলেট ডেস্ক::

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর অব্যাহত নির্যাতন ও প্ররোচনায় সুমা রানী দাস (২১) নামের এক নারী কীটনাশক পান করে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সুমার স্বজনরা তার স্বামী মোহন দে’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন।

গতকাল রবিবার (২০ জুন) সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। কীটনাশক পানের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আজ সোমবার (২১ জুন) সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সুমার স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ বছর আগে বড়লেখা পৌরসভার তেলিগুল গ্রামের মহানন্দ দে’র ছেলে মোহন দে’র সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া নয়াগাঁও গ্রামের গণেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সুমা রানী দাসের বিয়ে হয়। পরিবারে তাদের এক সন্তান রয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে সুমা স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমা মারা যান। পরে স্বজনরা তার লাশ বড়লেখা থানায় নিয়ে যান। সেখানে সুরতহাল শেষে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

সুমার মামা অতুল দাস মুঠোফোনে বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার ভাগ্নিকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করত। মোহন মাদকাসক্ত। এ বিষয় নিয়ে অনেকবার পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সে (মোহন) শোধরায়নি। রবিবার সুমার শ্বশুরবাড়ির আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সুমা বিষপান করেছে। এর আগে সকালে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করেছে। এরপরই সে (সুমা) বিষপান করে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার সোমবার বিকেলে বলেন, এক নারী বিষ খেয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার পরিবার থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *