ডায়ালসিলেট ডেস্ক;:সহসাই ভারত থেকে টিকা আসছে না- এমনটাই আভাস মিলেছে দিল্লির বিদেশমন্ত্রকের রুটিন প্রেস ব্রিফিংয়ে। মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত একটি রিপোর্ট, যেখানে বলা হয়েছে জুলাই’র শেষ কিংবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে টিকা রপ্তানি ফের শুরু করতে পারে ভারত, এর সত্যতা জানতে চাওয়া হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!প্রশ্নের জবাবে বাগচী বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রের নাম মুখে না নিয়ে বলেন,ভারতের টিকা রপ্তানি নীতি আগাগোড়াই স্পষ্ট ও ধারাবাহিক। বিদেশে টিকা পাঠানো মূলত দু’টি ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করছে।
প্রথমত: কি পরিমাণ টিকা উৎপাদন হচ্ছে? দ্বিতীয়ত: দেশব্যাপী চলা গণটিকা কার্যক্রমে কি পরিমাণ টিকার চাহিদা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি ভারতজুড়ে ২১শে জুন থেকে নতুন উদ্যমে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু থাকার বিষয়টি স্মরণ করেন। সেখানে ভারতে তৈরি টিকার জোগান নিশ্চিত করা দিল্লির অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং তা পরিস্থিতিকে বেশ নাজুক করে তোলায় ৭০ লাখ ডোজ সরবরাহের পর (চুক্তি সত্ত্বেও) বাংলাদেশে টিকা প্রেরণ বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এতে সেরামের সরবরাহ করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টিকার মারাত্মক সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। ওই সংকট মেটাতে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে টিকা চেয়ে চিঠি পাঠায় ঢাকা। কিন্তু কোনো দেশের তরফে এখনো এ নিয়ে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। ভ্যাকসিনের বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্স ১০ লাখ টিকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু তারাও কখন কীভাবে কোন দেশ থেকে তা সরবরাহ করবে সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলেনি এখনো। অনিশ্চয়তার চরম এই মুহূর্তে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের গত বুধবারের টিকা রপ্তানি শুরুর খবরটি ঢাকাকে বেশ আশাবাদী করেছিল। কিন্তু দিল্লির মুখপাত্রের নীরবতায় তা ‘সহসাই টিকা পাওয়ায় সম্ভাবনা’ নাকচ হয়ে গেল।
এম/

