আন্তর্জাতিক ডেস্ক::জন্মদিনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইংয়ের ‘মক’ কফিন এবং ছবিতে অগ্নিসংযোগ করেছে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা। শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় মন রাজ্যের থিয়েনজায়েট শহরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মক বা মহড়ায় যে পুষ্পার্ঘ্য দেয়া হয় তাতে লেখা ছিল ‘তুমি শান্তিতে থাকবে না’ এবং ‘তোমার জন্ম ও মৃত্যুদিবস একই দিনে হোক’। একই রকম বিক্ষোভ হয়েছে মিয়ানমারের অনেক স্থানে। ওদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে বাণিজ্যে সহায়তা করার অভিযোগে সেখানকার চারটি কোম্পানিকে শুক্রবার কালোতালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে দিয়েছে অবরোধ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এতে বলা হয়, ৬৫ বছর বয়সী ওই জেনারেলের ছবির একটি স্তূপে মান্দালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে এক আন্দোলনকারী অগ্নিসংযোগ করতে করতে বলেন, অভিশাপ হিসেবে এটাকে আমরা জ্বালিয়ে দিচ্ছি।তবে এ নিয়ে সামরিক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি।
নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে ১লা ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিন অং হ্লাইং। ৬৫তম জন্মদিন পালনের পর তার অবসরে যাওয়ার কথা। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের পর অবসরে যাওয়ার বাধ্যতামূলক বয়সকে বাতিল করা হয়েছে। ফলে তিনি এখন কতদিন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা নিয়েছে তারা এমন দাবি করছে সেনাবাহিনী। তাদের অভিযোগ, নভেম্বরে জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে সুচির দল ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। তবে তাদের এই অভিযোগ তখনকার নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করে। এ অবস্থায় ক্ষমতা দখল করে নিজের নিয়ন্ত্রণে চালাচ্ছে সব।
এর প্রতিবাদে প্রায়দিনই মিয়ানমারের কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হচ্ছে। ধর্মঘটে সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে সীমান্ত এলাকায় লড়াই জোরালো হয়েছে। এর ফলে প্রায় দুই লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে গেছে। এ সপ্তাহে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা হত্যা করেছে কমপক্ষে ৮৮০ জন মানুষকে। আটক করেছে কমপক্ষে ৫২০০ জনকে। শনিবার প্রকাশিত এই সংখ্যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এটাকে যাচাই ছাড়া সংখ্যা বলে উল্লেখ করেছে। তবে সেনাবাহিনী কি পরিমাণ মানুষকে হত্যা করেছে এবং কত মানুষকে আটক করেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি।
ডায়ালসিলেটএম/৬

