নিজস্ব প্রতিবেদক :: টানা চারদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ খুলেছে ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। সাতদিনের বিধিনিষেধে আগের চারদিন নগরীর রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম হলেও আজ পঞ্চমদিন সকাল থেকে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বেড়েছে পথচারী ও নানা প্রয়োজনে বের হওয়া নগরবাসীর চলাচলও। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা যায়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এদিকে, করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। বিধিনিষেধের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। নগরীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্টে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর শিবগঞ্জ, টিলাগড়, বন্দরবাজার,জিন্দাবাজার, চৌহাট্রা, মদিনা মার্কেট ও দক্ষিণ সুরমার আশপাশের এলাকায় মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিভিন্ন যানবাহনের চাপ। ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি বের হওয়ায় চেকপোস্টে জট লেগে আছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অন্যান্য, দিনের মত আজও ১৬ টি চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পাশাপাশি অনেককে জরিমানা করা হচ্ছে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

অপরদিকে সিলেট জেলা শাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘আজ সকাল থেকে রাস্তায় মানুষের যে চাপ তা দেখে মনেই হবে না দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। যারা বের হয়েছেন তারা হয়তো জরুরি প্রয়োজনেই বের হয়েছেন, তবে একসঙ্গে এত মানুষের চাপ প্রতিটি রাস্তায় হলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। মানুষের চলাচল যেমন বেড়েছে তেমন ব্যক্তিগত যানবাহনসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় সবাইকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ থেকে ব্যাংক খুলেছে, এ কারণে মানুষের চাপ গত চারদিনের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই বেশি। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অফিসের গাড়িও বেড়েছে। তবে যারা রাস্তায় বের হচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই মাস্ক পরছেন। আগের তুলনায় স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বেড়েছে। আর যারা বিনা কারণে বের হচ্ছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।’

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। তা ছাড়া চলমান বিধিনিষেধে বন্ধ আছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।

ডায়ালসিলেট/এম/এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *