ডায়ালসিলেট ডেস্ক::করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আজ (শনিবার) রাত থেকেই সারা দেশে লঞ্চসহ যাত্রীবাহী সব নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। চলবে আগামীকাল (রোববার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শনিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন আরোপ করে সরকার। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।এরপর ঈদুল আজহা উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে শিথিল করা হয় ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত।
একইসঙ্গে ২৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।যা এখনো চলমান।এই সময়ে সবকিছু বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।গণপরিবহণ, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ রাখা হয়।
এদিকে রপ্তানিমুখী সব শিল্পকারখানা রোববার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় ঢাকায় কিংবা কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না মানুষ। ফলে যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন।দীর্ঘ লকডাউনে বেকার হয়ে পড়া গার্মেন্টস কর্মী, রিকশা শ্রমিক, কারখানার শ্রমিকরা লকডাউন উপেক্ষা করে স্রোতের মতো নিজ কর্মস্থল ঢাকার দিকে ছুটছে।
গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার কারণে করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে কর্মজীবী নারী-পুরুষ বাস-ট্রাকে গাদাগাদি করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠে কর্মস্থলে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে লকডাউন মানাতে।
ডায়ালসিলেট এম/

