নিজস্ব প্রতিবেদক :: কঠোর লকডাউনের মধ্যেও বৃহস্পতিবার নগরীর সড়ক ও মহাসড়কে গাড়ির চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় সড়কে ছিল রিকশা, মোটরবাইক ও ব্যক্তিগত গাড়ির রাজত্ব। শিল্পকলকারখানা খোলার সুযোগে বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও খোলা হচ্ছে। এ কারণে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াত বেড়েছে। এছাড়া প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে দোকানপাট খুলছে। এসব ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও তেমন লক্ষ করা যায়নি। অনেক চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শুক্রবার (৬ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নানা প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরবাইক, রিকশা, বাইসাইকেলে চড়ে মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেছে। হেঁটে যাওয়া ও রিকশায় চড়ে চলাচলকারী মানুষদের কম জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইকে চলাচলকারীদের কঠোর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যারা জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত নন এবং বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেননি তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। সর্বত্রই আলোচনা চলছে- ‘কঠোর লকডাউন আর কঠোর নেই।’

কঠোর লকডাউনের ১৪তম দিন বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যবিধি ও লকাডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে চলাচল করায় সিলেট মহানগরীতে ৪৯টি যানবাহনে মামলা ও আরও ৮৬ যানবাহন আটক করেছে পুলিশ। একই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে প্রশাসন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর প্রবেশমুখ হুমায়ুন চত্বর এলাকা দিয়ে প্রচুর গাড়ি শহরের ভেতরে ঢুকছে। এ প্রবেশমুখে রয়েছে চেকপোস্ট। গাড়ি চেকিং করার সুবিধার্থে ওই প্রবেশমুখের সড়কটি সরু করে রাখা হয়। যৌক্তিক কারণ পেলে পুলিশ গাড়ি ছেড়ে দেয়। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে যাত্রীদের ফেরত পাঠানো হয়। আবার কারও কারও বিরুদ্ধে মামলাও দেওয়া হয়।

নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রচুর গাড়ি লক্ষ করা গেছে। আর ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী পরিবহণ করতে দেখা যায়। ট্রাফিক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে তারা নানা ধরনের অজুহাত দেখান। অন্য দিনের তুলনায় নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে বলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান। এ কারণে সকাল থেকে অনেক গাড়িকে সিগন্যালেও আটকে থাকতে হচ্ছে।

সোবাহানীঘাটে পুলিশ সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। আজও গাড়ি নিয়ে বের হয়ে অনেকে যাত্রী পরিবহণ করছে। বিশেষ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহণ অনেক বেড়েছে। রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়ায় তাদের দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘর থেকে হওয়া অধিকাংশ মানুষকেই তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না। বিধিনিষেধ মানতে অনেকেই অপারগতা দেখাচ্ছেন।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়কে মানুষ অন্যদিনের তুলনায় বেশি বের হলেও তল্লাশি কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালাভাবে। উপশহর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ স্থানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। মূলত সড়কসহ অলিগলিতে মানুষের চলাচল বেড়েছে। আর মহল্লার আনাচে-কানাচে আড্ডায় মেতেছে নগরবাসী। দোকানপাট, মার্কেট, শোরুম সবই চলছে। কিন্তু কোথাও বিধিনিষেধ মানতে দেখা যায়নি।

ডায়ালসিলেট/এম/এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *