ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে মাছের ডোবা সেচ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল হক (৪৫) আহত হয়েছেন। তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এ ঘটনায় আহতের স্ত্রী গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকালে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ পাটলী চাঁনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে হামলার সাথে জড়িত পাটলী চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইছবর চৌধুরীর ছেলে আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছ মিয়াকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ আটক করে।
জানা যায় নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ী উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আব্দুল হক দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে পাটলী ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী ফরিদ চৌধুরীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আব্দুল হক হেমন্ত মৌসুমে হাওর এলাকায় স্থানীয় লোকজনদের মাছ সংরক্ষনের ডোবা লীজ এনে তা সেচের মাধ্যমে মাছ আহরণ করে বিক্রয় করতেন।
আহত আব্দুল হকের স্ত্রী জানান, ‘প্রতি বছরের ন্যায় প্রায় ৩মাস আগে পাটলী চানঁপুর গ্রামের কদ্দুছ মিয়ার একটি ডোবা ৭ হাজার টাকায় আমার স্বামী আব্দুল হক ক্রয় করে সম্প্রতি ডোবাটি সেচে মাছ আহরণ করেন। ডোবাটি সেচের কারনে ডোবার মালিক আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামী আব্দুল হককে মারধর করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় গ্রামের মসজিদ থেকে আমার স্বামী আব্দুল হক নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে একা পেয়ে আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছ মিয়া ও তার সহযোগীরা রাস্তায় আটক করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি আমার স্বামীকে তাদের নির্যাতন থেকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা আমাকেও এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় আমার স্বামীকে উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
আহত আব্দুল হকের স্ত্রী আরো জানান, ‘থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।’
জগন্নাথপুর থানার এসআই অনুজ কুমার জানান, আহত আব্দুল হকের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুল মতিন চৌধুরী কদ্দুছ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তবে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় বসে বিষয়টি এলাকার মুরব্বিরা আপোষ মীমাংসা করে দেন।

