ডায়ালসিলেট ডেস্ক::মাদক মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে এদিন তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম কারাগারে হাজির করে পুলিশ।  মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।  অপরদিকে মৌয়ের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।  শুনানি শেষে মৌয়ের জামিন নামঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন আদালত।
গত ১ আগস্ট দিবাগত রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় আলোচিত মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর পিয়াসার দেওয়া তথ্যে মডেল মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ রাত ১টার দিকে মডেল মৌকে আটক করে ডিবি।  পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হয়।  সেদিন শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

প্রথম দফার এই রিমান্ড শেষে মৌকে ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।  মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে করা মামলায় মৌকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।  শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ১০ আগস্ট চারদিনের রিমান্ড শেষে মৌকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনের মামলায় তাকে আবারও পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।  শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমান তার ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান।

এদিকে দুই মডেলকে আটকের পর মৌয়ের বাসার নিচে সেদিন সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।  তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি।  তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে এনে তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতেন এবং ভিডিও করে রাখতেন।  পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

ডায়ালসিলেট এম/
0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *