নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী ৭ জন রিমান্ডে

প্রকাশিত: ৯:২২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১

নকল ওষুধ প্রস্তুতকারী ৭ জন রিমান্ডে

ডায়ালসিলেট ডেস্ক::রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। জব্দ করা হয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম। গ্রেপ্তারকৃতদের বংশাল থানায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতের মাধ্যমে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিবি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। তার আগে গত বুধবার রাজধানীর কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল-মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।
ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, একটি অসাধু চক্র নকল ওষুধ বাজারজাত করছে। এ চক্রের গ্রেপ্তার তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে সকল নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর, মনোয়ার এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধের পাতায় ছাপ দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেয়ার পর তৈরিকৃত এ সকল নকল ওষুধ গ্রেপ্তারকৃত সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করতো।
ডিবি প্রধান বলেন, এই সকল ওষুধ এর ইনগ্রিডিয়েন্টসে মূলত প্রয়োজনীয় কোন সক্রিয় উপাদান থাকে না। এছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। নন ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার, হৃদযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ সকল নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণফাঁদ। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব বাজারে ১৪৫ টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ। ভেজাল এবং নকল ওষুধ এই সুনাম এবং আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মফস্বলের ওষুধ ফার্মেসিগুলোকে টার্গেট করে একটি অসাধু সংঘবদ্ধ চক্র সারা দেশে ভেজাল ও নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের ওষুধ মাদকের চেয়েও ভয়াবহ।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares