ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: ঢাকাই সিনেমায় সত্তর-আশির দশকে যে’কজন সুদর্শন নায়ক দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বুলবুল আহমেদ। যিনি আজও অমর হয়ে আছেন সিনেপ্রেমী দর্শকদের হৃদয়ে। তাকে দেশীয় সিনেমার মহানায়ক বলা হয়।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৪১ সালের আজকের এ দিনে রাজধানীর পুরান ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পারিবারিক নাম তাবারক আহমেদ। বাবা-মা আদর করে বুলবুল বলে ডাকতেন তাকে।

পড়াশোনা শেষ করে ব্যাংকে চাকরিজীবন শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। পাশাপাশি টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ‘বরফ গলা নদী’ ১৯৬৪ সালে বিটিভিতে প্রচারিত হয়। এটি নির্মাণ করেছিলেন ছিলো আবদুল্লাহ আল মামুন।

ধারাবাহিক ও একক মিলিয়ে প্রায় চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ। তার অভিনীত প্রচারিত সর্বশেষ টিভি নাটক ‘বাবার বাড়ি’ ২০০৯ সালে প্রচার হয়। তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে- ‘মালঞ্চ’, ‘ইডিয়েট’, ‘মাল্যদান’, ‘বড়দিদি’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’।

বুলবুল আহমেদ ১৯৭৩ সালে ‘ইয়ে করে বিয়ে’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। এর পরের বছর ‘অঙ্গীকার’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। দুটি সিনেমা দিয়েই আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর একের পর এক কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি দুই চরিত্র ‘শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’-এ দুর্দান্ত রূপদান বুলবুল আহমেদকে দর্শকের কাছে চির স্মরণীয় করে রাখবে।

এছাড়াও ‘মহানায়ক’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘সূর্য্য কন্যা’, ‘ধীরে বহে মেঘনা, ‘জীবন নিয়ে জুয়া, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘বধূ বিদায়’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দি ফাদার’, ‘দুই নয়নের আলো’ সিনেমাগুলোর কারণে চিরদিন শ্রদ্ধেয় হয়ে থাকবেন বুলবুল আহমেদ।

কর্মজীবনের চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বুলবুল আহমেদ। দাম্পত্য জীবনে বুলবুল আহমেদের স্ত্রী ডেইজি আহমেদ। এই দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে মেয়ে ঐন্দ্রিলা ও তিলোত্তমা এবং ছেলে শুভ। মেয়ে ঐন্দ্রিলা দেশীয় নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

সুদর্শন, মার্জিত, রুচিশীল এ অভিনেতা ২০১০ সালে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মহানায়ক চলে গেছেন দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে তবুও বাংলা চলচ্চিত্রের রূপালী সৈকতের দর্শকদের মনে আজীবন রয়ে যাবেন দুই নয়নের আলো হয়ে।

ডায়ালসিলেট/এম/এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *