ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: চাকরির আশ্বাসে জোর করে আটকে রেখে পাঁচ মাস দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে ফুফু-ফুফাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা করেছেন এক তরুণী। সোমবার গভীর রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় মামলাটি করেন ওই তরুণী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!অভিযুক্তরা হলো— বাদীর ফুফু নূপুর বেগম, ফুফা নজরুল ইসলাম এবং বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকার সোহেল খান।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১৪ মাস আগে তার বিয়ে হয়। পারিবারিক কারণে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জেরে বিয়ের দুই মাস পর বাদী স্বামীর বাড়ি থেকে বরিশাল বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় ফুফু নূপুর বেগম ওই তরুণীকে ঢাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলেন।
নিজের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে ফুফুর কথায় রাজি হয়ে ৯ মাস আগে বাবা-মাকে না জানিয়ে ঢাকায় আসেন ওই তরুণী। এ সময় ফুফা নজরুল ইসলাম ও সোহেল খানের সহায়তায় ফুফুর ঢাকার শনিরআখড়ার বাসায় নিয়ে যায় তাকে। বাসায় যাওয়ার পর তিনি দেখতে পান ওই বাসায় অবৈধ দেহব্যবসার চিত্র।
কয়েক দিন পর ফুফুকে চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে তাকে দেহব্যবসা করতে হবে বলে জানায়। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা ওই তরুণীকে মারধর করে একটি রুমে বন্দি করে রাখে। বাদী দেহব্যবসায় রাজি না হলে তাকে খুন করার হুমকি দেয় তারা। কোনো উপায় না পেয়ে ওই তরুণী দেহব্যবসায় লিপ্ত হয়। বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ৫ মাস অবৈধ দেহব্যবসা করতে হয় তাকে।
দুই মাস আগে ওই তরুণী ফুফুর বাসার গৃহপরিচারিকার সহায়তায় পালিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে মামলা দায়েরের বিলম্ব হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই তরুণীর অভিযোগ আমলে নিয়ে রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডায়ালসিলেট/এম/এ/

