ডায়ালসিলেট ডেস্ক::ভাতিজাদের ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড বাবা। মাত্র সাত শতক জায়গার বিরোধ নিয়ে ভাতিজাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো সোলেমানের। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর। তিনি জানান, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের সোলেমান জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাদের ফাঁসাতে মেয়ে সালমা আক্তারকে (১৪) গত ১লা অক্টোবর হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় সোলেমান ও তার দুই ভাইসহ সাতজন। পরে গত ২রা অক্টোবর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে সালমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মেয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সোলেমান। জানা যায়, মেয়েকে হত্যার কয়েকদিন আগে নিজেদের কাউকে আহত করে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি-না তা নিয়ে এক আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে সোলেমান। এ কাজে সহায়তা করে সোলেমানের উকিল শ্বশুর আবদুর রহমান। আবদুর রহমান সম্পর্কে সালমার নানা। হত্যাকাণ্ডের দিন আবদুর রহমানের বাড়িতে বৈঠক হয়। সালমাকে হত্যার আগে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সোলেমান। আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর জানান, প্রথমে শ্বাসরোধ করা হয় সালমাকে। তারপর এলোপাতাড়ি গলা, পেট, কাঁধ ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সালমাকে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় সোলেমান নিজেও অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে আঘাত করে। তাছাড়া সোলেমানের দুই ভাই লোকমান ও বাতেন, প্রতিবেশী আবুল হোসেন, মূল পরিকল্পনাকারী আবদুর রহমান, প্রতিবেশী শফিউল্লাহ ও বন্ধু খলিল হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর সালমার বাবাকে গলায় ছুরিকাঘাতে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে নিজের গলায় নিজে ছুরি চালায় সোলেমান। হত্যাকা-ের মূলহোতা আবদুর রহমান ও সোলেমানের বন্ধু খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। নতুন মামলার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সোলেমান চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *