Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

 

ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::  রাজধানীতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বিশেষ অভিযানে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল রুপিসহ জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফাতেমা আক্তার অপি ও শেখ মো. আবু তালেব। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খিলক্ষেত ও ডেমরা থানা এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।

 

আজ শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার মেইন গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর একজন নারী ভারতীয় জাল রুপিসহ অবস্থান করছে বলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় অভিযান চালিয়ে ফাতেমা আক্তার অপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার হেফাজত থেকে ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানার পন্ডিতপাড়া এলাকায় তার নিজ বাসা হতে আরও ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় জাল রুপি উদ্ধার করা হয় এবং ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা থেকে জালিয়াতি চক্রের অপর সদস্য শেখ মো. আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপি আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবৎ পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল মুদ্রা কৌশলে সংগ্রহ করে দেশীয় চক্রের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিপণনসহ ভারতে পাচার করতো। গত ২৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারকৃত তালেব উদ্ধারকৃত ভারতীয় জাল মুদ্রা অপর গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির কাছে হস্তান্তর করে।

 

গ্রেপ্তারকৃত তালেব পাকিস্তানি নাগরিক সুলতান ও শফির মাধ্যমে পাকিস্তান হতে আমদানিকৃত মার্বেল পাথরের ৫০০টি বস্তার মধ্যে গোলাপি সুতা দ্বারা চিহ্নিত ৯৫টি বস্তার মধ্যে সুকৌশলে সেই ভারতীয় জাল মুদ্রা শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। গ্রেপ্তারকৃত ফাতেমা আক্তার অপির বিরুদ্ধে জাল টাকা সংক্রান্তে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *